ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ০৫:৩০
বিশেষ প্রতিবেদক
দেশে উৎপাদিত শুঁটকির মাত্র ১৩ শতাংশে কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, অর্থাৎ ৮৭ শতাংশ শুঁটকি নিরাপদ— এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) পরিচালিত এক গবেষণায়।
বুধবার (১৪ মে) সংস্থাটির আয়োজিত এক সেমিনারে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, রান্নার সময় এসব কীটনাশকের মাত্রা আরও কমে আসে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে না।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র। গবেষণায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, দুবলার চর, সুনামগঞ্জ ও নাটোরের চলনবিল থেকে মোট ৪০৫টি শুঁটকি নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়।
এতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষ ছুরি শুঁটকি বেশি খেয়ে থাকে, চলনবিলে টাকি এবং দুবলার চরে লইট্টা শুঁটকি সবচেয়ে জনপ্রিয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএফএসএ চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, “শুঁটকিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আমরা এ বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।”
গবেষক ড. মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শুঁটকির মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রোটিন চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হয়। তিনি বলেন, “রোদ না থাকলে শুঁটকি সংরক্ষণে কীটনাশক ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়।”
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুঁটকি কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বা লবণ দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে কীটনাশকের ক্ষতিকর দিক অনেকাংশে কেটে যায়।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল বারি বলেন, ভবিষ্যতে মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং মেকানিক্যাল ড্রায়িং প্রযুক্তির দিকেও নজর দেওয়া উচিত।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, গবেষণাটি দেশের সার্বিক চিত্র নয়, বরং নির্বাচিত অঞ্চলের ছোট পরিসরের একটি উদ্যোগ। তবে প্রাপ্ত ফলাফল আশাব্যঞ্জক এবং বড় আকারে গবেষণার সুপারিশ করা হয়েছে।
গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল— জনস্বাস্থ্য নিরাপদ রাখা ও শুঁটকির উৎপাদনে সচেতনতা বাড়ানো।