নতুন বাগানপ্রেমীদের জন্য পিওনি গাছ হতে পারে একটি চমৎকার শুরু। দীর্ঘস্থায়ী ও দৃষ্টিনন্দন ফুলের জন্য এই গাছের তুলনা নেই। যুক্তরাজ্যের প্রিমরোজ হল পিওনিস-এর অ্যালেক হোয়াইট রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটিকে (RHS) জানিয়েছেন, পিওনিকে যত্নের চেয়ে রোপণের পদ্ধতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, সঠিকভাবে রোপণ করা হলে এই গাছ কয়েক দশক পর্যন্ত ফুল দিতে পারে এবং এর জন্য খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। পোকামাকড়, খরগোশ বা হরিণের আক্রমণ থেকে সাধারণত এই গাছ সুরক্ষিত থাকে।
পিওনির হাজারো জাত রয়েছে, যেগুলো এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত ফুল ফোটায়। রঙের বৈচিত্র্যেও এটি অনন্য।
প্রথম কাজ হলো কোন জাতের পিওনি লাগাবেন তা নির্ধারণ করা, এবং তা টবে লাগাবেন নাকি বাগানের সীমানায়। যাই হোক না কেন, একটি সুপ্রতিষ্ঠিত গাছ কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
এই গাছ সূর্যের আলোতে ভালো জন্মে, তবে আংশিক ছায়াতেও টিকে থাকতে পারে। তবে রোদ ও বাতাস থেকে কিছুটা সুরক্ষিত জায়গা হলে ভালো হয়।
মাটির ধরণ নিয়ে তেমন খুঁতখুঁতে না হলেও পানি যেন জমে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। দরকার হলে রোপণের আগে জৈব সার, কম্পোস্ট বা গোবর মিশিয়ে মাটির গুণমান বাড়ানো যেতে পারে।
অ্যালেক হোয়াইট জানিয়েছেন, হার্বেসিয়াস ও ইন্টারসেকশনাল পিওনি রোপণের সময় মূল অংশ মাটির পৃষ্ঠ থেকে ২.৫ থেকে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি গভীরে রোপণ করা যাবে না। বেশি গভীরে রোপণ করলে গাছ ভালোভাবে পাতার গঠন করলেও ফুল আসবে না।
প্রতি বছর একবার সুষম ধীরগতির সার দিলেই পিওনি গাছ ভালো ফলন দেবে। রোপণের পর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে না, তবে শরৎকালে ছাঁটাই করলে পরের বছর ফুল আরও ভালো আসবে।
পিওনি প্রেমীরা বলছেন, একটু মনোযোগ দিয়ে শুরু করলেই এই গাছ বছরের পর বছর আপনার বাগানে ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেবে।