মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে তারা এক অজ্ঞাত দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান গ্রহণ করেছে, যা সরকারী শাটডাউনের কারণে সামরিক সদস্যদের বেতন প্রদানে সহায়তা করবে। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে জানান, “একজন বন্ধু” এই অনুদান দিয়েছেন যাতে সৈন্যদের বেতন বন্ধ না হয়। তিনি দাতার নাম প্রকাশ না করে বলেন, “ওই ব্যক্তি পরিচিতি চাননি, কিন্তু আমি বলব—এটাই দেশপ্রেম।”
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, অনুদানটি “সার্ভিস সদস্যদের বেতন ও সুবিধা প্রদানের ব্যয় মেটাতে” দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, “ডেমোক্র্যাটরা সৈন্যদের বেতন বন্ধ রাখায় এই অনুদানটি সহায়তা হিসেবে এসেছে।”
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারী শাটডাউন ২৪ দিন পার করেছে, যা দেশটির ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ হতে যাচ্ছে। কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে তহবিল নিয়ে অচলাবস্থার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন গত সপ্তাহে সৈন্যদের বেতন দিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করে। কিন্তু আগামী সপ্তাহে একইভাবে অর্থ স্থানান্তর করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
যদিও ১৩০ মিলিয়ন ডলার একটি বড় অঙ্ক, এটি সৈন্যদের সম্পূর্ণ বেতন কাভার করার তুলনায় নগণ্য। পেন্টাগন জানিয়েছে, অনুদানটি তাদের “সাধারণ অনুদান গ্রহণ নীতিমালা” অনুসারে গৃহীত হয়েছে।
তবে এই অনুদান গ্রহণের বৈধতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ম্যাক্স স্টিয়ার, পার্টনারশিপ ফর পাবলিক সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী, বলেন, “এটা এমন যেন কেউ সেনাদের বেতন নয়, নিজের বন্ধুর বারের বিল পরিশোধ করছে। এটি অবিশ্বাস্য।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের অনুদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। পেন্টাগনের উচিত প্রকাশ করা যে দাতার কোনো সরকারি চুক্তি বা মামলা সংক্রান্ত স্বার্থ রয়েছে কি না।”
পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি অনুদান গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট নৈতিক দপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়, যাতে স্বার্থের সংঘাত এড়ানো যায়।
