হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পেদ্রো পাসকাল সম্প্রতি তার নিজের চেহারা নিয়ে এক অপ্রচলিত অথচ খোলামেলা মন্তব্য করেছেন। তার মতে, তিনি ক্লিন শেভ চেহারায় নিজেকে দেখতে একেবারেই পছন্দ করেন না।
‘দ্য লাস্ট অফ আস’ ও ‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর’-এর এই অভিনেতা সম্প্রতি LADbible-এর ‘Agree To Disagree’ ভিডিও সিরিজে অংশগ্রহণ করেন সহ-অভিনেত্রী ভেনেসা কার্বির সঙ্গে। সেখানে একটি প্রশ্নের উত্তরে তাকে বলা হয়েছিল, “মোচ কি দাড়ির চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়?”
এই প্রশ্নে উত্তরে পাসকাল বলেন, “আমার মুখে তেমন ভালো দাড়ি ওঠে না। তবে সব ক্লিন শেভ করে ফেললে আমি নিজেকে খুব খারাপ দেখাই। ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’-তে নিজেকে দেখে এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যে এরপর আর ক্লিন শেভ লুকে ফিরিনি, যদি না একান্ত বাধ্য করা হয়।”
২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’ ছবিতে পাসকাল ম্যাক্সওয়েল লর্ড চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি পরিচালনা করেন প্যাটি জেনকিন্স এবং মূল ভূমিকায় ছিলেন গ্যাল গ্যাডট।
‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর’-এ তিনি রিড রিচার্ডস বা ‘মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক’ চরিত্রে অভিনয় করছেন। যদিও এই চরিত্রটি মূল মার্ভেল কমিকে সাধারণত ক্লিন শেভ লুকে দেখা যায়, তবে এবার তাকে দেখা যাবে দাড়িতে। এ নিয়ে কিছু ভক্ত আপত্তি তুললেও পাসকাল জানান, ছবিটির লুক তৈরিতে পরিচালক ম্যাট শ্যাকম্যান ও প্রযোজকরা সম্পূর্ণ সহযোগিতামূলক ছিলেন।
তিনি বলেন, “তারা যদি আমাকে দাড়ি কাটতে বলতেন এবং জোর দিতেন, তবে অবশ্যই করতাম। তবে আমরা একসঙ্গে কাজ করে সব চরিত্রের লুক ঠিক করেছি।”
ছবিটির কাহিনি একটি রেট্রো-ফিউচারিস্টিক ১৯৬০-এর দশকের পটভূমিতে নির্মিত হয়েছে। যেখানে চার সুপারহিরোর দল পৃথিবীকে রক্ষা করে এক মহাকাশীয় ঈশ্বর গ্যালাক্টাস (র্যাল্ফ ইনেসন) এবং তার রহস্যময় সহচর সিলভার সার্ফার (জুলিয়া গার্নার) থেকে।
ছবিতে আরও অভিনয় করছেন এবন মস-বাচরাখ ও জোসেফ কুইন। এই নতুন মার্ভেল সিনেমাটি ২০২৬ সালের ২৪ জুলাই মুক্তি পাবে বিশ্বব্যাপী।
ফ্যানদের উত্তেজনা এরইমধ্যে তুঙ্গে। তবে পেদ্রো পাসকালের একান্ত পছন্দ ‘দাড়ি’ নিয়ে যে আলাদা আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার বিষয়, এই নতুন রূপে দর্শক তাকে কতটা গ্রহণ করেন।