ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনেই বড় ধাক্কা খেল ভারত। ব্যাটিং করার সময় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন উইকেটকিপার ব্যাটার ঋষভ পন্থ। দিনের শেষে ভারতের সংগ্রহ ২৬৪ রান ৪ উইকেট হারিয়ে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ভারতের জন্য ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই।
টসে জিতে ব্যাট করার বদলে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আগে টসে জিতে বল করে কোনো দল জিততে পারেনি। ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করেই ইংল্যান্ড বল হাতে আক্রমণ শুরু করে।
ভারতের ইনিংসের শুরুটা ভালোই ছিল। জয়সওয়াল ও রাহুল মিলে লাঞ্চ পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৮ রান তোলেন। তবে লাঞ্চের পর পরই ছন্দপতন শুরু হয়। রাহুল ৪৬ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, এরপর জয়সওয়াল ও অধিনায়ক শুভমান গিল ফিরে যান দ্রুত সময়ের মধ্যে।
প্রথমবার টেস্টে ফিরেই স্পিনার লিয়াম ডসন জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে দেন। এরপর গিলও স্টোকসের বলে এলবিডব্লিউ হন, যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলায়নি। তিন ইনিংসে মাত্র ৩৪ রান করায় গিলের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে দিনটিতে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা প্যান্টের ইনজুরি। মাত্র ৪৮ বলে ৩৭ রান করে ব্যাট করছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। কিন্তু ক্রিস ওকসের এক ইয়র্কার লেন্থ ডেলিভারিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল গায়ে লেগে আহত হন তিনি।
পায়ের ডান দিকে ব্যথা পেয়ে মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন প্যান্ট। পরে তিনি নিজেই বুট খুলে বাগিতে চড়ে মাঠ ছাড়েন। মাঠ ছাড়ার সময় ভারতের স্কোর ছিল ২১২ রানে ৩ উইকেট।
পরে সদ্য ফেরা সাই সুদর্শনও ফিরে যান। তিনি ৬১ রান করেন। তার ক্যাচ নেন ব্রাইডন কার্স। এর আগে সুদর্শনকে একবার জীবন দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথ।
দিনের শেষভাগে ইংল্যান্ড স্পিন দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে। আলো স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, চোট কাটিয়ে সিরিজের চতুর্থ টেস্টেও মাঠে নামেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তাকে সিরিজে কেবল তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল, তবে দলের প্রয়োজনেই তাঁকে ফিরতে হয়।
এই টেস্টে জয় ছাড়া উপায় নেই ভারতের। কারণ সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জিততেই হবে। তবে এই মাঠে ভারতের অতীত রেকর্ড হতাশাজনক—এখনো কোনো টেস্টে জয় পায়নি তারা।
সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৩১ জুলাই, দ্য ওভালে। এর আগে চতুর্থ টেস্টেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টিম ইন্ডিয়া।