পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম নিজ নামে স্থাপিত একটি মূর্তি নিয়ে চলমান সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনার মাঝেও শিল্পীর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদের নেয়াজ স্টেডিয়ামের বাইরে আকরামের মূর্তি স্থাপন করা হয়। সেখানে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের জার্সি পরিহিত অবস্থায় বোলিং ভঙ্গিতে দেখা যায় তাকে। পাশে একটি বাঘের মূর্তিও রয়েছে।
মূর্তিটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই বিদ্রূপ করতে শুরু করেন। একজন ভক্ত মজা করে লিখেছেন, “মূর্তিতে একমাত্র বলটাই সবচেয়ে বাস্তব লাগছে, মুখটা বরং সিলভেস্টার স্ট্যালোনের মতো দেখাচ্ছে।”
তবে সদালাপী ওয়াসিম আকরাম বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) এ লেখেন, “হায়দরাবাদের নেয়াজ স্টেডিয়ামে আমার মূর্তি স্থাপন নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আমারটা অন্তত পাশের বাঘটার চেয়ে ভালো দেখাচ্ছে।”
তিনি আরও লেখেন, “মূল কথা হলো এই ভাবনা এবং প্রচেষ্টা। শিল্পীদের কৃতিত্ব প্রাপ্য, এই প্রচেষ্টার জন্য পুরো নম্বরই পাওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।”
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্টেডিয়ামে কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের মূর্তি স্থাপন একটি প্রচলিত সংস্কৃতি। অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এমন রীতি রয়েছে। ভারতে গত বছর মুম্বাইয়ে মাস্টার ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারের মূর্তি উন্মোচন করা হয়।
নেয়াজ স্টেডিয়ামের প্রধান শিরাজ লেগারি জানান, “শিল্পী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেছেন, তবে এটি শতভাগ আকরামের সঙ্গে মিলে যায় না বলে স্বীকার করেছেন।”
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল পেসারদের অন্যতম ওয়াসিম আকরাম দেশের হয়ে ১০৪টি টেস্টে ৪১৪ উইকেট এবং ৩৫৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫০২ উইকেট শিকার করেন।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন আকরাম।
নিজের মূর্তির বিষয়ে এমন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়ে আবারও অনুরাগীদের মন জয় করলেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।