আফগানিস্তানের মাটিতে অবস্থানরত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। তিনি বলেন, আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালানো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তালেবান সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) আবোটাবাদের পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে এক পাসিং আউট প্যারেডে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি আফগান জনগণের প্রতি সহিংসতার পরিবর্তে পারস্পরিক শান্তি ও নিরাপত্তা বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান।
পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির এক দিন পরই সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য আসে।
আসিম মুনির বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং দেশটির সেনাবাহিনী সীমান্তের ভেতর ও বাইরে যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত।
তিনি উল্লেখ করেন, জাতির ঐক্য ও সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মূল শক্তি। পাকিস্তান অতীতে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
পাকিস্তান সেনাপ্রধান বলেন, সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানগুলো জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে বহু মাত্রিক সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এবং দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত।
ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পারমাণবিক পরিবেশে যুদ্ধের কোনো স্থান নেই।” ভারত যদি শত্রুতা উসকে দেয়, পাকিস্তান প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি জবাব দেবে।
তিনি অভিযোগ করেন, ভারত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করছে এবং ঘটনাগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে।
আসিম মুনির বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দুই দশক ধরে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে লড়ে আসছে এবং জাতির ঐক্য ও সাহসিকতাই দেশের প্রধান শক্তি।
তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঐক্যই সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনে সফলতা এনে দেবে।”
তিনি শহীদ ও গাজিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “যাদের ত্যাগ ও সাহসের কারণেই আজ পাকিস্তান স্বাধীন ও নিরাপদ। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের সম্পর্ক অটুট এবং বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।”