চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অবস্থিত দেশের শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ তাদের সাতটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গত কয়েকদিনের শ্রমিক অসন্তোষ, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত কিছু শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার ভেতরে মারামারি, ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়ায়। এর ফলে স্বাভাবিক উৎপাদন পরিবেশ নষ্ট হয়।”
এতে আরও বলা হয়, “কিছু শ্রমিক বেআইনিভাবে উৎপাদন বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ওই সময়ের সংঘর্ষে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকসহ অনেকে আহত হন এবং কোম্পানি বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। এই পরিস্থিতি শ্রম আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ ধর্মঘট হিসেবে বিবেচিত হওয়ায়, কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ চট্টগ্রাম সিইপিজেডে মোট সাতটি কারখানা পরিচালনা করে— প্যাসিফিক জিন্স, জিন্স ২০০০, ইউনিভার্সাল জিন্স, এনএইচটি ফ্যাশন, প্যাসিফিক অ্যাকসেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যার এবং প্যাসিফিক অ্যাটায়ার্স।
সবগুলো কারখানাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রফতানিকারক, যা ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য সরবরাহ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারখানা পুনরায় চালুর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
সরকারি বা শ্রম অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।