ফুটবল বিশ্বে অবিশ্বাস্য এক গল্পের নায়ক হয়ে উঠলেন উসমান দেম্বেলে। একসময় ইনজুরি, সমালোচনা ও অনিয়মিত পারফরম্যান্সের জন্য আলোচনায় থাকা এই ফরাসি তারকা ২০২৫ সালে জিতলেন ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর।
প্যারিসের থিয়েটার দ্য শাতলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেম্বেলের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের কণ্ঠে ভেসে আসে স্লোগান, “Et Ousmane Ballon d’Or…”। চোখে জল নিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
বার্সেলোনায় ছয় মৌসুমে বারবার ইনজুরিতে ভুগে ১৮৫ ম্যাচ খেললেও ১৪১ ম্যাচ মিস করেছিলেন দেম্বেলে। তখন তাকে নিয়ে সমালোচনা ছিল তীব্র, এমনকি “ডেম্বুল্যান্স” উপাধিও পেয়েছিলেন। তবে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে।
কিলিয়ান এমবাপ্পে বিদায় নেওয়ার পর পিএসজিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব কাঁধে নেন দেম্বেলে। মৌসুমের শুরুটা কঠিন হলেও ডিসেম্বর মাসে লিঁওর বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর থেকে তার খেলায় আসে আমূল পরিবর্তন। কোচ লুইস এনরিকে তাকে নতুন ভূমিকায় ব্যবহার করেন এবং সেখানেই সাফল্যের শুরু।
মৌসুম শেষে দেম্বেলে গোল করেন ৩৫টি, অ্যাসিস্ট দেন ১৬টি। তার নৈপুণ্যে পিএসজি ঘরে তোলে লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ, ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ এবং বহুল কাঙ্ক্ষিত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এছাড়া তারা ক্লাব বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়।
ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বার্সেলোনার রাফিনিয়া, লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ ও প্রতিভাবান লামিন ইয়ামাল। তবে দেম্বেলের পারফরম্যান্স ও শিরোপা জয় সবাইকে ছাড়িয়ে যায়।
দেম্বেলের ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন ফুটবল বিশ্বে অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে থাকবে। একসময় যাকে ব্যর্থতার প্রতীক বলা হতো, তিনিই আজ ইউরোপের সেরা মঞ্চে গৌরবমণ্ডিত হয়ে দাঁড়ালেন ব্যালন ডি’অরের স্বীকৃতি নিয়ে।