গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেছেন, নূর স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিভ্রংশে ভুগছেন। শনিবার দুপুরে হাসপাতালে নূরকে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নূর অনেক ছোটখাটো বিষয় ভুলে যাচ্ছেন। নাক থেকে এখনও রক্ত পড়ছে। সরকার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দিলেও প্রশাসনের একাংশ তা চান না।”
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অবহেলা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডের কারণে নূরের শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে তিনি গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। রাশেদ খান বলেন, “আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও শনিবার হাসপাতালে নূরকে দেখতে যান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নূরের ওপর হামলাটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক মনে হচ্ছে। এটি কোনো আকস্মিক সংঘর্ষ ছিল না। তাঁর অবস্থা এখনও গুরুতর। নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে, অভ্যন্তরীণ জখমের আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তা বের করতে হবে।”
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, সরকার দাবি করলেও এখন পর্যন্ত নূরকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়নি। এটি হতাশাজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, তারা দ্রুত নূরের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছেন এবং এর জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।