বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদদের ঐতিহাসিক সাফল্যের স্বীকৃতি জানিয়ে বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মোট ৭১ লাখ টাকার পুরস্কার প্রদান করেছে জাতীয় নারী ফুটবল দল ও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী হকি দলকে। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় এনএসসি সম্মেলন কক্ষে।
নারী ফুটবল দলকে দেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার পুরস্কার। অন্যদিকে, অনূর্ধ্ব-১৮ নারী হকি দলকে দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ টাকা, গত এশিয়া কাপে ব্রোঞ্জ জয়ের কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ।
ফুটবল দলের প্রতিটি সদস্য পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা করে, আর হকি খেলোয়াড়রা পেয়েছেন ৯৫ হাজার টাকা করে। কোচ, ম্যানেজার ও ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও সমান অংশ পেয়েছেন, যাতে প্রত্যেক অবদানকারী পুরস্কৃত হন।
“সাফল্যে সবার ভূমিকা থাকে,” বলেন এনএসসির নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম। “তাই আমরা পুরস্কার সমানভাবে ভাগ করে দিই— যেন কেউ অবহেলিত না হয়।”
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরিফ, নির্বাহী সদস্য এমদাদুল হক কামরুল হাসান হিলটন ও এমরান হোসেন তুষার।
নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খান্দকার বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ধন্যবাদ জানাই। এই সম্মান আমাদের আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেয়। দেশের জন্য সাফল্য এনে গর্বিত বোধ করছি।”
এর আগেও নারী ফুটবলারদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর তারা পান এক কোটি টাকার বোনাস। পরবর্তীতে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের পর ঘোষণা দেওয়া পাঁচ কোটি টাকার প্রণোদনাও বিতরণ করা হয়, যদিও তিন মাস দেরিতে। তবে বাফুফে ঘোষিত সাফজয়ের ১.৫ কোটি টাকার পুরস্কার এখনও পরিশোধ করা হয়নি, এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও।
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ক্রীড়া সাফল্যের স্বীকৃতিতে এখনো কোনো স্থায়ী পুরস্কার নীতি নেই। এ প্রসঙ্গে এনএসসি নির্বাহী পরিচালক বলেন, “একটি আনুষ্ঠানিক নীতিমালা খুবই প্রয়োজন। আমি এই প্রস্তাবটি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলব, যাতে খেলোয়াড়রা নিয়মিতভাবে প্রাপ্য স্বীকৃতি পান।”
