নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলো নিয়ে নোয়াখালী বিভাগ গঠনের দাবি জানিয়েছে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটি। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে বিষয়টি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
কমিটির আহ্বায়ক এ কে এম মোজাম্মেল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রস্তাবিত নোয়াখালী বিভাগ গঠিত হলে রাজধানী থেকে দূরে থাকা জনগণ প্রশাসনিক সেবা সহজে পাবে। তিনি জানান, বিভাগটিতে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া—এই ছয়টি জেলা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব জেলার ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর হওয়ায় একই প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় আনা যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি সমালোচনা করে বলেন, কুমিল্লা বিভাগ গঠনের প্রস্তাব দেওয়ার আগে নোয়াখালী, ফেনী বা লক্ষ্মীপুরে কোনো গণশুনানি হয়নি। জনগণের মতামত না নিয়েই সিদ্ধান্তের চেষ্টা করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, কুমিল্লা রাজধানীর খুব কাছাকাছি হওয়ায় আলাদা বিভাগ হিসেবে গঠন প্রয়োজন নেই। অপরদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক কার্যালয় স্থাপন কৌশলগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তিনি দাবি করেন, নোয়াখালী বিভাগ গঠন হলে উপকূলীয় অর্থনীতি, ব্লু ইকোনমি, বন্দর এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ বাড়বে, যা সারাদেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বারকতুল্লাহ বুলু বলেন, নোয়াখালীর দীর্ঘ ইতিহাস, জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় এ দাবিটি সময়োপযোগী। তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমি নোয়াখালী বিভাগ প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক চেষ্টা করব।”
নোয়াখালী সমিতির সভাপতি এম এ খান বেলাল এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাবুদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।