অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানকে ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কর্মকর্তারা জানান, কোপেনহেগেনে কূটনৈতিক অনুমোদনের জন্য আনুষ্ঠানিক আগ্রেমো ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। ডেনমার্ক সম্মতি দিলে খানের নিয়োগ চূড়ান্ত হবে এবং তিনি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটিতে কূটনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “খানের নিয়োগ সংক্রান্ত সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা ডেনমার্কের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।”
গত ৫ নভেম্বর নিয়াজ আহমেদ খান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রদূত পদে সম্ভাব্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। খান বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি উপদেষ্টার কাছে যাননি।
নিয়াজ আহমেদ খান বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও উন্নয়ন গবেষক তিনি। শিক্ষা, শাসন এবং পরিবেশ অধ্যয়ন ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন।
অনুমোদন পেলে খান বর্তমান বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তিনি বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে শিক্ষা, জলবায়ু সহনশীলতা, টেকসই উন্নয়ন এবং বাণিজ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করায় মনোযোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ডেনমার্কের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৭২ সাল থেকে চলে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং সবুজ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেনমার্ক বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা প্রদান করেছে।
নিয়াজ আহমেদ খানের নিয়োগ শিক্ষা ও গবেষণা খাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ডেনমার্কের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশে জ্ঞান হস্তান্তরে সহায়ক হবে।
