২০২৫ সালের জন্য নতুন প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নাম ঘোষণা করল নিউইয়র্কভিত্তিক এলজিবিটিকিউ+ চলচ্চিত্র ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিউফেস্ট। নেটফ্লিক্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বে পরিচালিত ‘নিউ ভয়েসেস ফিল্মমেকার গ্রান্ট’ প্রকল্পের আওতায় চারজন তরুণ নির্মাতাকে ২৫ হাজার ডলারের অনুদান দেওয়া হবে।
এই অনুদান পেয়েছেন এমজি ইভানজেলিস্তা, শুলি হুয়াং, ফারাহ জাবির ও কেভিন জিয়ান মিং ইউ। অনুদানের পাশাপাশি তারা নিউফেস্টের তত্ত্বাবধানে পরামর্শ, নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ও শিল্প নির্দেশনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া তাদের কাজ নিউফেস্টের আসন্ন এলজিবিটিকিউ+ চলচ্চিত্র উৎসবে অক্টোবর মাসে প্রদর্শিত হবে।
নিউফেস্টের নির্বাহী পরিচালক ডেভিড হ্যাটকফ ও প্রোগ্রামিং পরিচালক নিক ম্যাকার্থি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “এই চতুর্থ বছরের শিল্প উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন নির্মাতাদের পরিচিত করে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ফারাহ, কেভিন, এমজি ও শুলির সাহসী নতুন কাজগুলোকে সমর্থন দিতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।”
গ্রান্টের জন্য ৫০০–এর বেশি আবেদন জমা পড়ে। বাছাই করেছেন তিনজন বাহ্যিক বিচারক—অস্কার মনোনীত নির্মাতা ইয়ান্স ফোর্ড, ইসাবেল সানডোভাল ও রোশান শেঠি। নিউফেস্ট ও নেটফ্লিক্সের এই যৌথ প্রকল্পটি ২০২১ সালে শুরু হয় এবং এটি নেটফ্লিক্স ফান্ড ফর ক্রিয়েটিভ ইক্যুইটির মাধ্যমে সমর্থিত।
ফিলিপিনো-আমেরিকান এমজি ইভানজেলিস্তা এনওয়াইইউ-এর টিশ স্কুল অব দ্য আর্টসের গ্র্যাজুয়েট। তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বার্নিং ওয়েল’ ইতিমধ্যে ফিল্ম ইন্ডিপেনডেন্ট, ট্রাইবেকা ইনস্টিটিউট ও টোরিনো ফিল্মল্যাবসহ একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সহায়তা পেয়েছে।
চীনা বংশোদ্ভূত নিউইয়র্কবাসী শুলি হুয়াং একটি হাইব্রিড নির্মাণশৈলী অনুসরণ করেন, যেখানে কল্পনা ও বাস্তবতার মিশ্রণ ঘটে। তার স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘উইল ইউ লুক অ্যাট মি’ কানের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘কুইয়ার পাম’ পুরস্কার পায় এবং পরবর্তীতে সানডান্সেও পুরস্কৃত হয়।
ফারাহ জাবির একজন কম খরচে হরর সিনেমায় আগ্রহী নির্মাতা। তিনি ট্রাইবেকা ফেস্টিভালে প্রদর্শিত ‘কাসবি’ ছবির নির্মাতা এবং বর্তমানে ‘হান্তু’ নামের একটি হরর প্রজেক্ট পরিচালনা করছেন।
অন্যদিকে, কেভিন জিয়ান মিং ইউ কুইন্সের একজন ননবাইনারি নির্মাতা। তার স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘ফিশ বোনস’ এসএক্সএসডব্লিউ উৎসবে ও প্রভিন্সটাউন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এবং বিশেষ জুরি পুরস্কারও পেয়েছে।
নিউফেস্ট-নেটফ্লিক্সের এই যৌথ প্রকল্প এলজিবিটিকিউ+ নির্মাতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে যেখানে নতুন গল্প ও কণ্ঠের জন্ম হচ্ছে, যার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন চলচ্চিত্র উৎসবেও।