যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স পারিশ কারাগার থেকে পালানো শেষ কয়েদি ডেরিক গ্রোভস এখনো পলাতক রয়েছেন। গত মে মাসের ১৬ তারিখ কারাগারের টয়লেটের পেছনের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান মোট ১০ জন বন্দি। তাদের মধ্যে ৯ জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হলেও ২৮ বছর বয়সী ডেরিক গ্রোভসকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রোভসের রূপ পরিবর্তনের একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে, তিনি নিজেকে অচেনা করে ফেলার জন্য চেহারায় পরিবর্তন এনেছেন। তবে এই দাবির কোনো সত্যতা এখনো পুলিশ নিশ্চিত করেনি। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, গ্রোভসের একাধিক মগশট একই ধরণেরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, তবে কোনো ছবির সঙ্গেই নিউ অরলিন্স পুলিশ বিভাগের লোগো বা উৎসের উল্লেখ ছিল না।
নিউ অরলিন্স পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, গ্রোভসের অবস্থান শনাক্তে কেউ তথ্য দিলে ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার দেয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মার্ডি গ্রা উৎসবে ঘটে যাওয়া এক গুলিবর্ষণের ঘটনায় গ্রোভসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রির দু’টি হত্যার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে, যেখানে প্যারোলের সুযোগও থাকবে না।
গত সপ্তাহে পালানো আরেক কয়েদি অ্যান্তোনি ম্যাসিকে নিউ অরলিন্স শহরের তৃতীয় জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে ইউএস মার্শাল সার্ভিস। একটি স্থানীয় সূত্রের ভিত্তিতে পুলিশ তার অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এদিকে সোমবার নিউ অরলিন্স পারিশ ক্রিমিনাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে গ্রেপ্তার হওয়া সব কয়েদির বিরুদ্ধে ‘সাধারণ জেলব্রেক’-এর অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গ্রোভস গ্রেপ্তার হলে তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউ অরলিন্স পুলিশ বিভাগ এখনো দেশের বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো আশাবাদী, শিগগিরই গ্রোভসকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।