ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার বহুল আলোচিত দুর্নীতির মামলার সাক্ষ্য প্রদান স্থগিত করতে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মামলাটি বাতিল করার আহ্বান জানানোর পর বৃহস্পতিবার আদালতে এই আবেদন করা হয়।
নেতানিয়াহুর আইনজীবী আমিত হাদাদ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা আবেদনে বলেন, “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির” কারণে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পিছিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, “প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জাতীয়, কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তার সম্পূর্ণ মনোযোগ ও সময় ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত এবং গাজায় চলমান লড়াই, যেখানে এখনো ইসরায়েলি জিম্মিরা আটক রয়েছে, সেগুলো ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত রয়েছেন।
এর আগে, ট্রাম্প বুধবার তার Truth Social প্ল্যাটফর্মে নেতানিয়াহুর মামলাটিকে “উইচ হান্ট” হিসেবে অভিহিত করে তা “তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল বা মহান নেতার জন্য ক্ষমা ঘোষণার” আহ্বান জানান।
তবে ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ, কিন্তু তিনি যেন একটি স্বাধীন দেশের বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ না করেন।”
নেতানিয়াহু, যিনি ইসরায়েলের ইতিহাসে দীর্ঘতম মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী, ২০২০ সালের মে মাসে শুরু হওয়া এই মামলার শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
প্রথম মামলায় নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিলিয়নিয়ারদের কাছ থেকে সিগার, গহনা ও শ্যাম্পেইনের মতো প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বিলাসবহুল উপহার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অন্য দুই মামলায় অভিযোগ, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের দুটি সংবাদমাধ্যমে নিজের পক্ষে ইতিবাচক কভারেজ নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।
এই মামলা ইতিমধ্যে বহুবার স্থগিত হয়েছে এবং নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে আবারও সময় চাওয়ায় এটি আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।