২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাজেটে অর্থনৈতিক রূপান্তরের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেটি প্রতিফলিত হয়নি। রাজধানীর বাংলা মোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাজেটে কর নীতির ক্ষেত্রে উচ্চআয়ের ব্যক্তিদের কাছ থেকে বেশি কর আদায়ের কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। বরং সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ অপর্যাপ্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধি হয়নি। ডিজিটাল লেনদেনে কর বৃদ্ধি করার ফলে ডিজিটাল ইকোনমির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আমাদের দেশে যেভাবে ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি হচ্ছে, সেখানে করের এমন চাপ ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক নয়। তার ভাষায়, “বড় বড় রাঘব বোয়ালদের করের আওতায় আনতে হবে। কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অথচ এই বাজেটে কোনো কৌশলগত পরিকল্পনা নেই।”
তিনি আরও জানান, “গত এক বছরে ২৬ লাখ বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। অথচ বাজেটে কর্মসংস্থানের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো দিকনির্দেশনা নেই। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে, যেটি অত্যন্ত হতাশাজনক।”
দলটির নেতারা মনে করেন, ব্যাংকখাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আগের মতই থেকে গেছে। এতে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বাড়বে বলেই তাদের আশঙ্কা।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বলছে, তারা একটি বৈষম্যহীন ও জবাবদিহিমূলক অর্থনীতি দেখতে চায়। সেই লক্ষ্যে আগামী দিনগুলোতে জনগণের পাশে থেকে নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করতে কাজ করবে দলটি।