Tuesday, June 24, 2025
Homeরাজনীতিজুলাই সনদ ঘোষণার শর্তে নতুন নির্বাচনি সময়সূচিতে আপত্তি নেই: এনসিপি

জুলাই সনদ ঘোষণার শর্তে নতুন নির্বাচনি সময়সূচিতে আপত্তি নেই: এনসিপি

নতুন নির্বাচনি সময়সূচিতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), তবে শর্ত হিসেবে দলটি জুলাই সনদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং নির্বাচনপূর্ব সকল দলের জন্য সমতাভিত্তিক মাঠ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস ঘোষণা দেন যে আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ১ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে।

এর প্রতিক্রিয়ায় এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করার আগে আমরা চাই জুলাই ডিক্লারেশন ও জুলাই সনদ ঘোষণা হোক। তবে সরকারের কাছে এ মুহূর্তে তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করাটাই অগ্রাধিকার ছিল, সেটাও আমরা বুঝি।”

আরও পড়ুন: আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন, রাষ্ট্র সংস্কারে দৃশ্যমান অগ্রগতি: অধ্যাপক ইউনূস

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদটি একটি রাষ্ট্র সংস্কার পরিকল্পনার রূপরেখা, যা সব রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো দেশে আর কখনও কর্তৃত্ববাদী শাসন ফিরে না আসার স্থায়ী গ্যারান্টি তৈরি করা।

এদিকে জুলাই ডিক্লারেশন মূলত গত বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত সব শহীদদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির ঘোষণা।

অন্যদিকে এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন পৃথক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “নির্বাচনের আগে যে রাষ্ট্রীয় সংস্কার পরিকল্পনায় দলগুলো একমত হয়েছে, তার ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন জরুরি। এ ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

আরও পড়ুন: নির্বাচনী সময়সীমা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেনি বলে মন্তব্য বিএনপির

এনসিপির আরেক শীর্ষ নেতা সারজিস আলম তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলেন, “নির্বাচনে সমতাভিত্তিক মাঠ নিশ্চিতের প্রশ্নে কোনো আপসের সুযোগ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সকল সংস্কার আগেভাগেই বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে অতীতের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং কালো টাকার ছড়াছড়ির ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”

সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এক দশকের বেশি সময় ধরে বেআইনি নির্বাচন এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতার পর এখন আর ক্ষমতার অপব্যবহার, শক্তি প্রদর্শন কিংবা অপরাধমূলক অর্থের ব্যবহার সহ্য করা হবে না। নির্বাচন পরিচালনায় সকল দলকে সমান মর্যাদায় দেখতে হবে।”

আরও পড়ুন: নির্বাচনকাল ঘোষণা: জামায়াতসহ চারটি দলের স্বাগত

নির্বাচনকালে বিভিন্ন প্রার্থী বিপুল অর্থ, যার উৎস অনেক সময় সন্দেহজনক, ব্যবহার করে ভোট কর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ভোটারদের প্রভাবিত করার পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন সারজিস।

এনসিপি নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, একটি গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্কার দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

RELATED NEWS

Latest News