প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫, ৯:১৭ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, খুনি হাসিনার নির্দেশে বুলেটবিদ্ধ হয়ে শহীদ হওয়া সহযোদ্ধা হাসান-এর জানাজা শুধু বিদায়ের অনুষ্ঠান নয়, বরং প্রতিশোধ ও শপথের সূচনা। শনিবার (২৪ মে) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “মাথার খুলি উড়ে যাওয়া ভাই হাসানের জানাজা আজ অনুষ্ঠিত হয় শহীদ মিনারে। জুলাই অভ্যুত্থানের সর্বশেষ শহীদ ছিলেন আমাদের সহযোদ্ধা হাসান—যিনি বুক টানটান করে দাঁড়িয়েছিলেন হাসিনাশাহীর বিরুদ্ধে।”
হাসনাত বলেন, “তিনি এত রক্ত, এত প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনার পর, আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব ছিল খুনিদের, হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু, যেন কোনো অদৃশ্য ইশারায় সেই কাঙ্ক্ষিত বিচারপ্রক্রিয়া থমকে আছে। বিচার দাবি করলেই আমাদের দীর্ঘসূত্রিতা দেখানো হয়, শোনানো হয় নানা যুক্তি ও ব্যাখ্যা।”
তিনি বলেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুনি হাসিনার বিচার না করে কোথাও যেতে পারবে না। গণহত্যার মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের মুখোমুখি না করে আসিফ নজরুল স্যারও তার পদের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেন না।”
শহীদ হাসানের প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “জুলাইয়ের উত্তাল দিনে শহীদ হাসান ছিলেন আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা সহযোদ্ধা। আমরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হত্যার বিচার চাই। এই বিচার থেকে কেউ ফাঁকি দিয়ে পার পাবে না। আমরা ক্ষমা করব না।”
হাসনাত আরও বলেন, “এই জানাজা শুধু বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা নয়—প্রতিটি জানাজা আমাদের কাছে একেকটি শপথের নতুন সূচনা। মনে রাখবেন—আমরা ভুলব না, থামব না।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শহীদদের স্মরণে এমন প্রকাশ্য মন্তব্য জাতীয় রাজনীতিতে চাপ তৈরি করতে পারে এবং বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। এনসিপির তরফে বারবার বিচারের জোরালো দাবি সরকারের জন্যও চাপসৃষ্টি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহল পর্যবেক্ষণ করছে, আগামী দিনে এই দাবি ও চাপের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহল কী পদক্ষেপ নেয়। এনসিপির ভাষ্যমতে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না এবং তারা বিচার আদায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।