গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মিছিল ও সমাবেশে হামলার ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন দলটির কনভেনার নাহিদ ইসলাম। বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা গোপালগঞ্জে গিয়েছিলাম সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলার জন্য। কিন্তু সেখান থেকে মাদারীপুর যাওয়ার পথে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এটা শুধু ফ্যাসিস্ট শক্তির পক্ষেই সম্ভব।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আমরা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমাদের খুলনায় ফিরে আসতে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গোপালগঞ্জে যা ঘটেছে, তা কেবল শুরু। আওয়ামী লীগ এখন সন্ত্রাসী দল হিসেবে আচরণ করছে। এই ধরনের হামলা অন্য জেলাতেও ঘটতে পারে। প্রশাসনের মধ্যেও কোনো অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ছিল কি না, সেটিও তদন্তের দাবি রাখে।”
নাহিদ ইসলাম জানান, ১৭ জুলাই সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে এনসিপি। তিনি বলেন, “এই হামলা আবারও প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট চরিত্রে ফিরে গেছে।”
দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি জানান, “ফরিদপুর থেকে শুরু করে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর পর্যন্ত এনসিপি’র কর্মসূচি চলবে। প্রতিটি জেলায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি’র উত্তরাঞ্চল প্রধান সংগঠক সর্জিস আলম, দক্ষিণাঞ্চল প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ডা. তাসনিম জারা এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
এনসিপি দাবি করেছে, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে গোপালগঞ্জে এমন ঘটনা ঘটত না। তারা এ ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল হিসেবে দেখছেন এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সূচনা করতে পারে, যা দেশজুড়ে আন্দোলনের গতিকে আরও জোরদার করতে পারে।