জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রোববার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
নির্ধারিত সময়সীমার শেষ দিন বিকেল ৪টায় তারা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “আমরা আরপিও অনুসারে সব শর্ত পূরণ করে নিবন্ধনের আবেদন জমা দিয়েছি।”
তিনি জানান, দলটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়েছে। এটি না পাওয়া গেলে ‘কলম’ বা ‘মোবাইল’ প্রতীক চাইবে দলটি।
এ সময় প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সর্জিস আলম, প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন।
একই দিনে আরও বেশ কয়েকটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
এসব দলের মধ্যে রয়েছে জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি), গণদল, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বিএজেপিএ), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ সমতা পার্টি, বাংলাদেশ ফারায়েজি আন্দোলন, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট, নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি, বাংলাদেশ গণ বিপ্লবী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশন, জনতার দল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (বিএনপি), জাতীয় ন্যায়বিচার পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিডিপি) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)।
জেপিবি চায় ‘হাতি’ প্রতীক
জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে এবং নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘হাতি’ চেয়েছে।
দলের মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, “বর্তমান নিবন্ধন নিয়ম অনেক কঠিন হলেও আমরা প্রচলিত নিয়ম মেনেই আবেদন করেছি। নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন হলে আমরা কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করব।”
জনতার দল চায় ‘চাবি’ প্রতীক
আরেকটি দল, জনতার দল, ‘চাবি’ প্রতীক চেয়ে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। দলের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামিম কামাল ও সদস্য সচিব আজম খান এই আবেদন জমা দেন।
“আমরা আইনের সব শর্ত পূরণ করে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করেছি। এখন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি,” বলেন শামিম কামাল।
প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ নির্বাচন কমিশন নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল। প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারিত থাকলেও পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত করা হয়।
বর্তমানে ইসির নিবন্ধনে রয়েছে ৫০টি দল
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে, এবং আদালতের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফেরত পেতে যাচ্ছে।
নতুন দল নিবন্ধিত হলে তারা নিজস্ব প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। নিবন্ধন দেয়া হয় ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (এ) ধারা অনুযায়ী।