জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে মাঠে গড়ানো তিনটি ম্যাচই ড্র হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাটসম্যানদের দাপটে সেঞ্চুরি পেয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সালমান হোসেন। তবে ঢাকার তরুণ ওপেনার জিসান আলম অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। দিনের শেষে ফলাফল না আসায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দলগুলোকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আউটার গ্রাউন্ডে ঢাকার বিপক্ষে সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। আগের দিনের ৯৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে তিনি ১৭৯ বলে தனது ১৯তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে তার সেঞ্চুরির পরও সিলেট তাদের প্রথম ইনিংসে ২৯০ রানে অলআউট হয়ে যায়, যা ঢাকার চেয়ে ২০ রান কম ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার ওপেনার জিসান আলম ৯৪ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো তার এই ইনিংসটি থামে নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লে। এরপর আশিকুর রহমান অপরাজিত ৫৯ রান করলে ঢাকা ২ উইকেটে ২২২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সিলেটের সামনে জয়ের জন্য ২৪৩ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়। জবাবে সিলেট ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩ রান তোলার পর দিনের খেলা শেষ হয়ে যায় এবং ম্যাচটি ড্র হয়।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচটিও ড্র হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা ব্যাহত হওয়ার পর বরিশাল তাদের প্রথম ইনিংস ৪ উইকেটে ২৫৯ রানে ঘোষণা করে। আগের দিন ৭৫ রানে অপরাজিত থাকা সালমান হোসেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ২৪২ বলে ১২০ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার। জবাবে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৩৫ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে। কিন্তু বরিশালের সামনে ম্যাচ জেতার মতো যথেষ্ট সময় ছিল না এবং দিনের শেষে ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়।
কক্সবাজারের একাডেমি গ্রাউন্ডে রংপুর বিভাগকে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ময়মনসিংহের করা ৫৫৫ রানের বিশাল স্কোরের জবাবে রংপুর প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আব্দুল্লাহ একাই লড়ে যান এবং অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলে দলের হার এড়ান।
এর আগে সোমবার এই রাউন্ডের একমাত্র জয়টি তুলে নিয়েছিল রাজশাহী। তারা খুলনাকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে। এনসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা আগামী ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে।
