২৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগ (চার দিনের) ২০২৫-২৬ মৌসুমের দ্বিতীয় দিনে চার ভেন্যুতে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই হয়েছে। সিলেট ডিভিশন ও রংপুর ডিভিশনের ম্যাচ সবচেয়ে রোমাঞ্চকর। তৃতীয় দিনে ম্যাচটি সমানে সমান অবস্থায় রয়েছে।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিলেট প্রথম ইনিংসে ৫৮.৩ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয়। অমিত হাসানের ১১০ বলে ৯১ রানের ইনিংস সিলেটের মেরুদণ্ড ছিল। অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও অমিত একাই লড়াই করেন। রংপুরের বোলার ইসলাম মুকিদুল মুগ্ধ, রবিউল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নিয়ে সিলেটকে আটকে রাখেন।
জবাবে রংপুর ৬৬ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৭ রান করে। সিলেটের চেয়ে মাত্র ১২ রান পিছিয়ে। তানবীর হায়দার ১১৮ বলে ধৈর্যশীল ৪৯ রান করেন। দিন শেষে রবিউল হক ২৭ ও ইসলাম মুকিদুল মুগ্ধ শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।
মাত্র দুটি উইকেট হাতে রেখে রংপুর তৃতীয় দিনে সিলেটের স্কোর ছাড়িয়ে লিড নেওয়ার চেষ্টা করবে।
কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রানে অলআউট হয়। নাইম শেখের ৯০ এবং নিচের সারিতে শহিদুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ৭৯ রান ময়মনসিংহকে শক্তিশালী স্কোর এনে দেয়। জবাবে ঢাকা সতর্ক শুরু করে দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৭ রান করে।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম ডিভিশন প্রথম ইনিংসে ৩৫১ রান করে অলআউট হয়। পারানের ৯১ এবং ইরফান শুক্কুরের ৬২ রানের জুটি চট্টগ্রামকে বড় স্কোর এনে দেয়। খুলনা জবাবে ৮ উইকেটে ২৪৯ রান করে। সৌম্য সরকারের ৯২ এবং জিয়াউর রহমানের অপরাজিত ৫৫ রান খুলনাকে লড়াইয়ে রাখে।
খুলনা ডিভিশনাল স্টেডিয়ামে রাজশাহী প্রথম ইনিংসে বরিশালকে ২৩ রানে হারায়। বরিশাল ২১২ রান করে। তানভীর ইসলামের পাঁচ উইকেট বরিশালকে প্রতিযোগিতায় রাখে। রাজশাহী প্রিতম কুমারের ৬৫ রানের সুবাদে ২৩৫ রান করে। বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেটে ২২ রান করে স্থিতিশীল শুরু করে।
লিগের দ্বিতীয় দিনে সব ম্যাচেই উত্তেজনা বজায় রয়েছে। তৃতীয় দিনে ফলাফলের দিকে এগোবে ম্যাচগুলো।
