জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার দাবিতে এনবিআর রিফর্ম ইউনিটি কাউন্সিলের পূর্ণ ধর্মঘট ও শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচি রবিবারও চলবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়। তারা জানায়, শনিবারের মতো রবিবারও দেশের সকল ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসে পূর্ণ ধর্মঘট পালন করা হবে। তবে আন্তর্জাতিক সেবা এই ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।
আগামী ২৯ জুন, রবিবার, দেশজুড়ে সকল রাজস্ব অফিস থেকে ‘পিসফুল মার্চ ফর এনবিআর’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ব্যবসায়ী নেতাদের এক বিবৃতিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ অপ্রয়োজনীয় দাবি করায় ইউনিটি কাউন্সিল তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “যে আমলাকে একটি স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগী বলা হয়, তার অপসারণ অপ্রয়োজনীয় কেন, তা স্পষ্ট করা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।”
তারা আবারও তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান একজন বিতর্কিত আমলা এবং তাকে অপসারণ ছাড়া টেকসই ও কার্যকর রাজস্ব সংস্কার সম্ভব নয়।”
ইউনিটি কাউন্সিল আশা প্রকাশ করে, “সরকার, ব্যবসায়ী সমাজ এবং জনগণ রাজস্ব খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আধুনিকীকরণের স্বার্থে আমাদের এই দাবি সমর্থন করবেন।”
তারা জানায়, “একটি আধুনিক, দক্ষ ও হয়রানিমুক্ত এনবিআর গঠনে এই অপসারণ অপরিহার্য। এতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং সামগ্রিক সংস্কারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।”
তবে তারা ব্যবসায়ী সমাজের রাজস্ব সংস্কার বিষয়ে সামগ্রিক অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “তারা যথাযথভাবে রাজস্ব সংস্কারের প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেছেন।”
পরিস্থিতি সমাধানে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে ইউনিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, “আমরা ২৫ মে ২০২৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির আলোকে সংস্কার কর্মসূচি যৌক্তিক করতে যে কোনো সময় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।”
তবে তারা অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের আলোচনার অনুরোধের পরও অর্থমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।”
পরিশেষে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পরিস্থিতির সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে ইউনিটি কাউন্সিল।