চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অনুমোদিত বেসরকারি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) ও অফ-ডকগুলোতে এখন থেকে ৬৫ ধরনের আমদানি পণ্যের স্থানান্তর, খালাস ও ডেলিভারি করা যাবে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর জানায়, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে গতিশীল করা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্তে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রক্রিয়া আরও সহজ ও গতিশীল হবে বলে এনবিআরের বিশ্বাস।
এনবিআরের ভাষায়, বন্দর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও অংশীজনদের পরামর্শে পণ্যের তালিকায় পর্যায়ক্রমে হালনাগাদ আনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দুই ধাপে মোট ২৭টি নতুন পণ্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে গত ৮ এপ্রিল ১২টি পণ্যের অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ১৭ জুলাই আরও ১৫টি পণ্য যুক্ত হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বে ৩৮ ধরনের পণ্য অফ-ডকে হ্যান্ডলিংয়ের অনুমতি ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন মোট ৬৫ ধরনের আমদানি পণ্য চট্টগ্রামের ১৯টি অনুমোদিত আইসিডি ও অফ-ডকে স্থানান্তর ও খালাস করা যাবে।
‘অফ-ডক’ বলতে এমন কন্টেইনার ইয়ার্ড বোঝানো হয় যা প্রধান বন্দর টার্মিনালের বাইরে অবস্থিত। এসব স্থাপনায় কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, পণ্য খালাস ও সংরক্ষণের সুযোগ থাকে। এতে প্রধান বন্দরের ওপর চাপ কমে এবং পণ্য খালাসের গতি বাড়ে।
এনবিআর আশা করছে, বেসরকারি আইসিডিগুলোতে সম্পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগানো গেলে প্রধান বন্দরের কার্গো জট অনেকাংশে হ্রাস পাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে পণ্য খালাস নিশ্চিত করা যাবে। এতে বাণিজ্য কার্যক্রমে গতি আসবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সিদ্ধান্ত বাণিজ্য সহজীকরণে সহায়ক হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী মহল। তারা মনে করছেন, এর ফলে সময় ও খরচ উভয়ই কমবে, পাশাপাশি পণ্যের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে।