ওক্লাহোমা সিটি থান্ডারের পয়েন্ট গার্ড শাই গিলজিয়াস-অ্যালেকজান্ডার মনে করছেন, এনবিএ ফাইনালে জয় নতুন এক যুগের সূচনা হতে পারে তার এবং দলের জন্য। ইন্ডিয়ানা পেসার্সকে ৭ ম্যাচ সিরিজে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ওক্লাহোমা তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা জিতেছে সিয়াটল থেকে স্থানান্তরের পর।
পে-কম সেন্টারে রোববারের ১০৩-৯১ ব্যবধানের জয়ে গিলজিয়াস-অ্যালেকজান্ডার শুধু দলের নায়ক নন, এনবিএ ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় (MVP), ফাইনালের MVP এবং একই মৌসুমে সর্বোচ্চ স্কোরারের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
এই অর্জন তাকে এমন এক অভিজাত তালিকায় নিয়ে গেছে, যেখানে আছেন লেব্রন জেমস, মাইকেল জর্ডান, ম্যাজিক জনসন, হাকিম ওলাজুয়ান, টিম ডানকান, শাকিল ও’নিল, ল্যারি বার্ড, মজেস ম্যালোন, করিম আবদুল-জাব্বার ও উইলিস রিড।
২৬ বছর বয়সী এই কানাডিয়ান গার্ড বলেন, “এটা একটা দারুণ শুরু। আমরা এখনো উন্নতির জায়গায় আছি। অধিকাংশ খেলোয়াড় এখনো তাদের ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে পৌঁছায়নি।”
মোটামুটি ২৫.৬ বছর গড় বয়সের থান্ডার দলে সহানুভূতি, একতা ও স্পষ্ট কৌশলই ছিল সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ম্যাচের পর টেলিভিশন সাক্ষাৎকারগুলো প্রায়ই দলীয় উদযাপনে রূপ নিত।
গিলজিয়াস-অ্যালেকজান্ডার বলেন, “আমাদের একতাই সবকিছু সহজ করে দিয়েছে। মনে হয়েছে যেন আমরা কেবল বাচ্চা হয়ে খেলছি। এটা দারুণ উপভোগ্য ছিল।”
দলের কোচ মার্ক ডায়াগনল্ট বলেন, “এই দল আচরণে চ্যাম্পিয়ন, প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। পেশাদার খেলায় এই ধরনের পারস্পরিক সহানুভূতি বিরল।”
যদিও গিলজিয়াস-অ্যালেকজান্ডারের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব অনেক বড়, তিনি বরাবরই দলীয় সাফল্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে আনন্দটা আমি পেয়েছি এই ১৫ জন ভাইয়ের সঙ্গে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে, সেটা অন্য সব কৃতিত্বের চেয়ে অনেক বেশি তৃপ্তিকর।”
এনবিএর ইতিহাসে এমন উদাহরণ খুবই কম যেখানে এত কম বয়সী একটি দল শিরোপা জেতে এবং দলের নেতৃত্বে থাকেন এমন একজন খেলোয়াড় যিনি একইসঙ্গে ফাইনাল MVP, মৌসুম MVP ও স্কোরিং চ্যাম্পিয়ন।
ওক্লাহোমা সিটির এই সাফল্য গিলজিয়াস-অ্যালেকজান্ডারদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যেটা দীর্ঘমেয়াদে এনবিএর মানচিত্রে তাদের স্থায়ী করে তুলতে পারে।