বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, “শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটলেও, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এখনো হয়নি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র সরকারের পতন নয়, বরং একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়া। তা সম্ভব একমাত্র জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের পথেই।”
বুধবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছি। জনগণের, ছাত্র-শ্রমিকের আন্দোলনের ফলে এই ফ্যাসিবাদ পতন ঘটেছে। কিন্তু আমরা কেবল সরকারের পতন চাইনি, চাই ছিল গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর একদফা দাবির মধ্যে ছিল—ফ্যাসিবাদ পতন এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদীয় নির্বাচন, যাতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়। প্রথম অংশ পূরণ হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধান ও নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখনো কিন্তু আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি।”
বিএনপি নেতা জানান, দেশের জনগণ এখনো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের সুযোগ পায়নি। এ অবস্থায় একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মত দেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদদের রক্তের মূল্য দিতে হলে এখনই সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ।