Sunday, July 6, 2025
Homeরাজনীতিআইন প্রয়োগে অপব্যবহার হলে দায়ীদের শাস্তির বিধান থাকা উচিত: নজরুল ইসলাম খান

আইন প্রয়োগে অপব্যবহার হলে দায়ীদের শাস্তির বিধান থাকা উচিত: নজরুল ইসলাম খান

সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ও শ্রম আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে সমালোচনা বিএনপি নেতার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রতিটি আইনে এমন বিধান রাখা উচিত যাতে আইন প্রয়োগে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আইন লঙ্ঘন বা অপব্যবহার করেন, তবে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা থাকে।

শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্যের আয়োজিত “সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৫” বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “শুধু সুন্দর ভাষায় আইন লেখাই যথেষ্ট নয়। যাঁরা আইন প্রয়োগ করেন, তাঁরা যদি সেটা জনগণের ওপর অত্যাচার করতে ব্যবহার করেন এবং যদি তাদের জবাবদিহির সুযোগ না থাকে, তবে সেই আইন বাস্তবিক অর্থে মূল্যহীন হয়ে পড়ে।”

সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন আনা হলেও এটি এখনো জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ।

তিনি শ্রম আইন নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, ২০০৬ সালে সব শ্রম আইন একীভূত করে শ্রম আদালত আইন করা হলেও বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়ে গেছে।

“আইনে লেখা আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে, কিন্তু দেশে এখনো ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিক তা পান না। তাদের চাকরির শর্ত, ছুটি, বার্ধক্যভাতা কিছুই নিশ্চিত নয়,” তিনি বলেন।

নজরুল আরও বলেন, কৃষিশ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত হলেও তা বাস্তবায়নের কার্যকর ব্যবস্থা নেই। যারা কম মজুরি দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথও দুর্বল।

তিনি অভিযোগ করেন, দেশের অনেক আইন অস্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে, যার সুযোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসাধারণকে হয়রানি করে থাকে।

নারী, শিশু, যুবক এবং শ্রমিকদের জন্য অনেক আইন থাকলেও অধিকাংশ মানুষ এসব আইনের বিষয়ে সচেতন নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবীদের এসব বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, “আইনে যেসব অধিকার দেওয়া আছে, তা যেন জনগণ ভোগ করতে পারে এবং যেসব অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত, তা অর্জনের জন্য যেন সংগ্রাম করতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।”

RELATED NEWS

Latest News