ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই নেটো মহাসচিব মার্ক রুটে সোমবার বলেন, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি জানান, তার সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হলো, যদি ইরান পারমাণবিক বোমা অর্জন করে, তবে তা ইসরায়েলসহ পুরো অঞ্চল এবং বিশ্বের ওপর একধরনের ‘জিম্মি’ অবস্থা সৃষ্টি করবে।
দ্য হেগে অনুষ্ঠিতব্য নেটো সম্মেলনের প্রাক্কালে রুটে বলেন, “নেটোর দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়ই পরিষ্কার। মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরেই একমত যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।”
একইসঙ্গে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে নেটোর সম্মেলনের গুরুত্ব কমে যাবে—এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন।
রুটে আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইরান সরাসরি জড়িত। তার মতে, “ইরানি ড্রোন প্রতিদিন ইউক্রেনের নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করছে।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মার্কিন যুদ্ধবিমান ‘বান্কার বাস্টার’ বোমার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যদিও অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, এর প্রকৃত প্রভাব মূল্যায়ন করতে এখনো সময় প্রয়োজন।
ইরানের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি এসেছে যে, এই মার্কিন হামলা যুদ্ধকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারে এবং এর ‘গুরুতর ও অনির্দেশ্য পরিণতি’ হতে পারে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই ইসরায়েলের ১৩ জুনের বোমা হামলাকে ‘বড় ভুল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রুটে বলেন, “মূল বিষয়ের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমার সবচেয়ে বড় ভয় হলো, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে এবং তা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়, তবে সেটি শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, গোটা অঞ্চলের জন্য এবং বিশ্বের আরও কিছু অংশের জন্য ভয়ঙ্কর হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা, এমন প্রশ্নে রুটে সাফ বলেন, “আমি একমত নই যে, যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে তা আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে।”
নেটো সম্মেলনকে সামনে রেখে এসব মন্তব্য করলেন রুটে, যেখানে ৩২টি সদস্য দেশের নেতারা বৈঠকে অংশ নেবেন।
