নভেম্বরজুড়ে আর্চারি, ফুটবল, হকি ও কাভাডি প্রতিযোগিতা শেষ না হতেই জাতীয় স্টেডিয়াম আবারও নতুন সূচি সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশন ২৩ ও ২৪ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দু’ম্যাচের আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করছে। এ আয়োজন মহিলাদের ফুটবলের প্রস্তুতিকে জটিল করে তুলেছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিদেশীয় মহিলা সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে অংশ নেবে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও আজারবাইজান। উদ্বোধনী ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া। এজন্য দলগুলোর পর্যাপ্ত অনুশীলন সময় ও মাঠ প্রস্তুতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিএফএফ।
বিএফএফ সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অনুরোধ করেছিলেন যেন রাগবির জন্য এত কাছাকাছি সময়ে মাঠ বরাদ্দ না দেওয়া হয়। তবে এনএসসি সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।
এনএসসির নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, স্টেডিয়াম মূলত ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসের জন্য হলেও প্রয়োজন হলে অন্যান্য খেলাও আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, রাগবি সিরিজ আন্তর্জাতিক এবং গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ২৩ ও ২৪ নভেম্বরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাগবি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মহিলাদের ফুটবল শুরুর আগেই একটি পূর্ণ দিন পাওয়া যাবে যা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছে এনএসসি। তিনি উভয় পক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগেও সূচি সংঘর্ষ দেখা গেছে। এ মাসে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের অংশবিশেষ সরিয়ে নিতে হয়েছিল আর্মি স্টেডিয়ামে কারণ ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও নেপালের পুরুষ ফুটবল ম্যাচ একই সময়ে এ মাঠে নির্ধারিত ছিল।
বিএফএফের উদ্বেগ এখনো কাটেনি। প্রতিযোগিতা কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস বলেন, রাগবি অত্যন্ত উচ্চতর শারীরিক সংযোগের খেলা এবং মাঠের ঘাসে এর চাপ অনেক বেশি। রাগবির পরপরই আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল মাঠ প্রস্তুত রাখা কঠিন হবে।
দেশে রাগবির জনপ্রিয়তা তুলনামূলক কম এবং পল্টন ময়দান ছাড়া বড় ভেন্যু পাওয়া কঠিন। তাই এ বিরল আন্তর্জাতিক সিরিজের জন্য ফেডারেশন জাতীয় স্টেডিয়ামকে বেছে নিয়েছে।
রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আখতার উজ জামান আশ্বাস দিয়েছেন যে মাঠের ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে এবং তারা ফুটবলসহ অন্যান্য ফেডারেশনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
