ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবারের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই স্কুলশিক্ষার্থী।
এক্স (পূর্বের টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেয়া এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “ঢাকায় এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানিতে, যাদের মধ্যে অনেকেই কিশোর শিক্ষার্থী, গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
এই শোকবার্তাটি আসে এমন এক সময়ে, যখন দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এই দুর্ঘটনাটি গভীর শোক ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিএজিআই যুদ্ধবিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে আছড়ে পড়ে। এতে আহত হন ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ।
সরকার মঙ্গলবারকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে, যাতে নিহতদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। দুর্ঘটনাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যুদ্ধবিমান ও প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
উল্লেখ্য, বিমানটি আকাশে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই কারিগরি সমস্যার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয় এবং দেশ-বিদেশ থেকে শোকবার্তা আসতে থাকে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির এই বার্তা বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের এক মানবিক উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কূটনৈতিক মিশনও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।