শুক্রবার সকালে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নরায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় ৫০টির বেশি ভবনে ফাটল ধরেছে এবং কয়েকটি ভবন হেলে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের মিশনপাড়া ও আটি হাউজিংয়ের একাধিক ভবনে ফাটল ছাড়াও ঝুঁকে পড়ার ঘটনা ঘটে।
সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার একটি দেয়াল ধসে পড়ে। আটি হাউজিংয়ের ৫ নম্বর সড়কে দুটি ও ২ নম্বর সড়কে একটি বাড়ি বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের সময় সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হিরাঝিল শাখায় ভেনাস এডুকেশন সোসাইটির বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী। স্কুলের ইনচার্জ আব্দুর নুর এবং ডে কেয়ারের ইনচার্জ কামাল উদ্দিন দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এক শিক্ষক বলেন, আমরা আলহামদুলিল্লাহ, সব শিশুকে নিরাপদে বের করতে পেরেছি।
আদমজি ইপিজেডের কারখানাগুলোতে কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আনন্তা ওয়াশিং লিমিটেডের ৬ জন নারী কর্মী এবং সিম্বা ফ্যাশন লিমিটেডের ১ জন পুরুষ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেপজা মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চারজনকে বাসায় পাঠানো হয় এবং তিনজনকে খানপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৩০০ শয্যার খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার জানান, আতঙ্কে অসুস্থ হওয়া সাতজনকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বড় কোনো কাঠামোগত ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
নরায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, জেলার ক্ষয়ক্ষতি অন্যান্য এলাকার তুলনায় কম। সিদ্ধিরগঞ্জ, হিরাঝিল ও ইপিজেড এলাকায় কয়েকটি ভবনে ফাটল ও হেলে পড়ার বিষয়টি দেখা গেছে, তবে ঠিক কতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মাটির অবস্থা ও ভবন নিরাপত্তা যাচাইয়ে প্রাথমিক মূল্যায়ন শুরু করেছে।
