১৯৭৭ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত খ্যাতনামা নাট্যদল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায় ৪৮ বছরের শিল্পযাত্রা পেরিয়ে আজও মঞ্চে সক্রিয়। ইতিহাসনির্ভর ও রাজনৈতিক সচেতন নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি নিজস্ব নান্দনিক পরিচয় ধরে রেখেছে দলটি।
দলের প্রথম প্রযোজনা ছিল ‘আমার সোনার হরিণ চাই’। এরপর তারা মঞ্চে এনেছে ‘রক্তকরবী’, ‘শাস্তি’, ‘নৃপতি’, ‘ক্লিওপেট্রা’, ‘মহাবিদ্রোহ’ এবং ‘সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর’-এর মতো প্রশংসিত নাটক।
দলের দীর্ঘ যাত্রা প্রসঙ্গে নান্দনিকের প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ এম হাসানুজ্জামান বলেন,
“শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশি-বিদেশি নান্দনিক নাটক মঞ্চে আনা। তাই প্রযোজনার সংখ্যা হয়তো কম, কিন্তু মানের সঙ্গে কখনও আপস করিনি। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম তা হয়তো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি, তবে দলের তরুণ সদস্যরা সেটি এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য বদরুদ্দোজা বলেন,
“নান্দনিক শুধু একটি নাট্যদল নয়, এটি একটি পরিবার যেখানে সদস্যদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এখানে নাটক শেখা মানে শুধু অভিনয় নয়, দেশপ্রেম জাগানো। ৪৮ বছর মঞ্চে কাজ করে যাওয়া নিজেই এক বিশাল সাফল্য।”
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।