গলে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে প্রথম সেশন শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তায় খানিকটা স্থিরতা এসেছে সফরকারীদের ইনিংসে।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল লাঞ্চ পর্যন্ত সংগ্রহ করেছে ৩ উইকেটে ৯৩ রান। শান্ত ২৫ ও মুশফিক ২০ রানে অপরাজিত থেকে বিরতিতে যান।
বৃষ্টিভেজা আকাশ ও টার্ন সহায়ক পিচে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কান বোলাররা আঁটসাঁট বোলিং করেন। বাংলাদেশকে শুরুতেই ধাক্কা দেন আসিথা ফার্নান্দো। মাত্র ১০ বল খেলে কোনো রান না করেই উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়।
এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। দুজনে মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়লেও অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের ঘূর্ণিতে ধসে পড়ে সেই জুটি।
চতুর্থ ওভারে রত্নায়েকে স্লিপে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রানে বিদায় নেন সাদমান। এরপর মুমিনুল, যিনি ২১ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত ২৯ রানে একই বোলার ও ফিল্ডারের শিকারে পরিণত হন।
মুমিনুল তার ৩৩ বলের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান। অন্যদিকে, চাপের মধ্যে ব্যাট হাতে নামা মুশফিকুর রহিম সাহসিকতার সঙ্গে রত্নায়েকের হ্যাটট্রিক বল সামাল দেন এবং শান্তর সঙ্গে ৪৫ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন।
এর আগে শ্রীলঙ্কা দল আজকের ম্যাচে দুটি টেস্ট অভিষেক দিয়েছে। ওপেনার লাহিরু উদারা ও দুই হাতে বল করতে সক্ষম স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্যাপ পরেন। একইসঙ্গে এটি শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের শেষ টেস্ট ম্যাচ।
প্রথম সেশনের পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সেশনে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে হবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে ভালো সংগ্রহ গড়তে শান্ত-মুশফিক জুটির বড় ইনিংস প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।