কলম্বো টেস্টে ইনিংস ও ৭৮ রানে পরাজয়ের পর বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শনিবার ম্যাচশেষ সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
“আমি একটি ঘোষণা দিতে চাই—বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি,” বলেন শান্ত।
শান্ত বলেন, তিন ফরম্যাটে তিনজন আলাদা অধিনায়ক থাকা দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তিসঙ্গত নয় বলেই তার ব্যক্তিগত মত। “গত কয়েক বছর এই ড্রেসিংরুমে থেকে আমি বুঝেছি, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক রাখা বাস্তবসম্মত নয়। এটা পুরোপুরি আমার ব্যক্তিগত মতামত। বোর্ড চাইলে ভিন্নভাবে ভাবতে পারে, আমি সেই মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,” বলেন তিনি।
“এটা যেন কেউ ব্যক্তিগত কোনো আঘাত বা একদিনের দল থেকে বাদ পড়ার প্রতিক্রিয়া মনে না করে। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এই সিদ্ধান্ত কেবল দলের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করেই নিয়েছি,” যোগ করেন শান্ত।
তিনি জানান, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগকে তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। তিনি বলেন, “শান্তর অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ পথচলার জন্য শুভকামনা রইল।”
এর আগে দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি সান’ এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, শান্ত টেস্ট সিরিজ শেষে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছিল, “শান্ত অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন, এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।”
শান্তর এই পদত্যাগ আসে এমন এক সময়ে, যখন বোর্ড কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাকে একদিনের দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেট মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও শান্ত নিজের অবস্থানকে পুরোপুরি দলকেন্দ্রিক ও ইতিবাচক বলেই উপস্থাপন করেছেন।