টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত হলেও তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর কলম্বোতে শান্ত যখন পদত্যাগের ঘোষণা দেন, তখন ফাহিম গণমাধ্যমকে জানান, “এটা না হলেই ভালো হতো। শুধু এই কারণে না যে সে সফল অধিনায়ক ছিল, বরং আমি তার নেতৃত্বগুণ খুব কাছ থেকে দেখেছি। সে ভালো একজন নেতা।”
তিনি বলেন, “যদি সে নেতৃত্বে থাকত, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো। তবে যেহেতু সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি তা সম্মান জানাই।”
ফাহিম আরও জানান, বিসিবির সঙ্গে শান্তর এই বিষয়ে কিছু আলোচনা হলেও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের কথা তিনি ভাবেননি। “হ্যাঁ, আমরা আলোচনা করেছি। তবে আমি ভাবিনি আজই সে ঘোষণা দেবে। ভেবেছিলাম কিছুদিন পরে হবে। তবে সে আজই বলতে চেয়েছে, সেটাও আমি শ্রদ্ধা করি।”
সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজকে দায়িত্ব দেয় বিসিবি। তখন শান্তর টেস্ট নেতৃত্ব ধরে রাখার ব্যাপারে পরিষ্কার বার্তা দেয়া হয়েছিল বলে জানান ফাহিম।
তিনি বলেন, “আমরা টেস্ট দলের জন্য অন্য কাউকে ভাবিনি। কারণ আমার ধারণা ছিল শান্তই থাকবে। তার রেকর্ড নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, তবে আমি জানি সে একজন ভালো নেতা। আশা করেছিলাম, সে থাকবে। এখন আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।”
শান্ত কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়েও কিছুটা ব্যাখ্যা দেন ফাহিম। “তার নিজের কিছু কারণ ছিল। সে শুধু টেস্ট দলের নেতৃত্বই দেয়নি, তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেছে সে।”
বর্তমানে বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব কে নেবেন, তা নিয়ে এখন বিসিবিকে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে। তবে বোর্ডের শীর্ষ পর্যায়ের মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, শান্তর প্রতি এখনো আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে, এবং অধিনায়কত্ব ছাড়লেও তিনি দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।