বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া টেস্ট অধিনায়কত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
‘ডেইলি সান’-এর সূত্রে জানা গেছে, বাঁহাতি এই ব্যাটার ইতিমধ্যে বোর্ডকে জানিয়েছেন যে, তিনি আপাতত টেস্ট দলের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন। এর আগে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারানোর পর শান্ত টেস্ট নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান।
বর্তমানে বিসিবি নতুন টেস্ট অধিনায়ক খুঁজছে। আলোচনায় রয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। নভেম্বর মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে তার সম্মতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বোর্ড।
ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও টেস্ট নেতৃত্বে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ওয়ানডে দলে নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্কের কারণে তাকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দেখার সম্ভাবনা কম।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের পরিকল্পনা এখন আর বাধ্যতামূলক নয়।
তিনি বলেন, “টেস্ট দলের অধিনায়ক নির্বাচনে বোর্ড, নির্বাচক ও কোচিং স্টাফদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হবে। নির্বাচিত খেলোয়াড়ের সম্মতিও নিতে হবে। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক থাকা বাধ্যতামূলক নয়।”
বুলবুল আরও বলেন, “একজন তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দিতে পারেন, আবার একজন এক বা দুই ফরম্যাটও সামলাতে পারেন। দলের প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
বিসিবি চাইলে তিন অধিনায়ক নীতিতে থাকতে পারে। বিকল্প হিসেবে তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হকের নামও আলোচনায় আছে।
টাইজুল প্রকাশ্যে টেস্ট দলের নেতৃত্বের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ‘ডেইলি সান’-কে বলেন, “বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়ার সব দরজা আমি বন্ধ করে দিইনি। বোর্ড যদি আবার প্রস্তাব দেয়, আমি সেটা বিবেচনা করব।”
আগামী ২ নভেম্বর বিসিবির পরবর্তী বোর্ড সভায় টেস্ট অধিনায়ক নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
