Wednesday, September 3, 2025
Homeআন্তর্জাতিকমিয়ানমারে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি, রোহিঙ্গা নিপীড়নের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি নিয়ে জাতিসংঘের সতর্কতা

মিয়ানমারে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি, রোহিঙ্গা নিপীড়নের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি নিয়ে জাতিসংঘের সতর্কতা

রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা, বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ; মানবাধিকার প্রধানের অভিযোগ উভয় পক্ষের দায়মুক্তি

মিয়ানমারে মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার দৃশ্য আবারও দেখা যাচ্ছে।

রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই চলমান। ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, তার অংশ হিসেবেই এই সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফোলকার টার্ক মঙ্গলবার বলেন, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সুযোগ নিয়ে বেসামরিক মানুষের ওপর বারবার নির্যাতন চালাচ্ছে। তিনি জানান, ভিডিও ও ছবিতে মৃত্যু, ধ্বংস ও হতাশার যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, তা ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত রাখাইনে সহিংসতায় কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মানুষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাতে নিহত ১ হাজার ৮১১ জন বেসামরিক মানুষের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব হামলার মধ্যে স্কুলেও আঘাত হানা হয়েছে। এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, নিখোঁজ হওয়া, নির্বিচার গ্রেপ্তার, অগ্নিসংযোগ ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া এবং ভয় দেখাতে ধারাবাহিক সহিংসতার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধেও সহিংসতা, জোরপূর্বক নিয়োগ এবং বাস্তুচ্যুতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও জাতিসংঘ বলছে, এ বছরের শুরু থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমেছে।

তবে রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অবরোধের কারণে খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফোলকার টার্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন, মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।

RELATED NEWS

Latest News