ক্যাপ্টেন হিসেবে অভিষেকেই টেস্ট ইতিহাসে দুর্দান্ত এক রেকর্ড গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মুলডার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন তিনি অপরাজিত ২৬৪ রান করেন। এটি কোনো নতুন অধিনায়কের পক্ষে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
রোববার কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৮ ওভারে ৪৬৫ রান ৪ উইকেটে। মুলডার একাই করেন ২৬৪ রান, ইনিংসে ছিল ৩৪টি চার ও ৩টি ছয়।
এর আগে, নতুন অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিংয়ের নামে, যিনি ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ২৩৯ রান। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মুলডার।
মুলডার দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ব্যাটার যিনি অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই শতক করলেন। তার আগে ছিলেন জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ, যিনি ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন।
এই টেস্টে নেতৃত্ব পেয়েছেন মূলত অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি এবং সহ-অধিনায়ক আইডেন মারক্রামের বিশ্রামের কারণে। প্রথম টেস্টে কেশভ মহারাজ নেতৃত্ব দিলেও ইনজুরির কারণে ছিটকে যান তিনিও।
মুলডার ইনিংস গড়েছেন দুটি বড় জুটিতে ভর করে। ডেভিড বেডিংহামের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১৮৪ রানের, আর ১৯ বছর বয়সী লুয়ান-ড্রে প্রেটোরিয়াসের সঙ্গে করেন আরও ২১৭ রান।
প্রেটোরিয়াস প্রথম টেস্টেও শতক করেছিলেন, এবারও তিনি করেছেন ৭৮ রান। বেডিংহাম থামেন ৮২ রানে।
খেলার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার। মাত্র ২৪ রানে পড়ে যায় ২ উইকেট। এরপরই ক্রিজে আসেন মুলডার এবং শুরু হয় ব্যাটিং তাণ্ডব।
বেডিংহাম বলেন, “আমরা স্বাভাবিকভাবেই আগ্রাসী খেলি। এই পিচে বাউন্স কম, তাই আত্মবিশ্বাস ছিল।”
মুলডারের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরুর দিকটা ছিল অনেকটা সংগ্রামের, তবে এই ইনিংস তার পাকা প্রত্যাবর্তন। তার আগে টেস্ট গড় ছিল মাত্র ২২ রান, যদিও প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৪৭।
মজার ব্যাপার হলো, ৯১ রানে একবার প্রায় আউট হয়ে গিয়েছিলেন মুলডার, কিন্তু বলটি দুই ফিল্ডারের মাঝে পড়ে বেঁচে যান। এরপর ২৪৭ রানে বোল্ড হলেও দেখা যায় সেটি ছিল নো বল, ফলে ফিরে পান জীবন।
মুলডার ১১৬ বলে শতক, আর ২১৪ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৬৫/৪, ৮৮ ওভারে
মুলডার ২৬৪*, বেডিংহাম ৮২, প্রেটোরিয়াস ৭৮