Wednesday, November 12, 2025
Homeজাতীয়বিএনসিসির মানোন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের

বিএনসিসির মানোন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের

যুব নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নে বিএনসিসির ভূমিকা জোরদারের ওপর গুরুত্ব

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর মানোন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের যুব সমাজকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত করতে বিএনসিসিকে দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের অংশ হিসেবে শক্তিশালী করা জরুরি।

মঙ্গলবার রাষ্ট্র অতিথি ভবন যমুনায় বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ আল মাসুদের উপস্থাপনা “ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন থ্রু বিএনসিসি” শোনার পর এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

সভায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থাপনায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ বিএনসিসির বর্তমান কাঠামো, যুব কর্মশক্তি উন্নয়ন পরিকল্পনা, জনবল চাহিদা, বাজেট, চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমানে ৫৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসি কার্যক্রম চলছে এবং ভবিষ্যতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংগঠন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, “বিএনসিসিতে যোগদানের মূল বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ প্রশিক্ষিত ক্যাডেট তৈরি করা।”

প্রফেসর ইউনূস বিএনসিসির এই পরিকল্পনার প্রশংসা করে বলেন, “আমরা সবাই বিএনসিসিকে সমর্থন করি, কিন্তু এখানে মান নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য প্রশিক্ষক থাকতে হবে এবং ভবিষ্যতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে।”

তিনি আত্মসম্মান, শৃঙ্খলা ও অন্তর্ভুক্তিকে বিএনসিসির মূল মূল্যবোধ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বিএনসিসি আত্মসম্মান ও শৃঙ্খলার প্রতীক। এখানে এমন একটি সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা থাকা উচিত, যা ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে। পাশাপাশি তাদের জন্য নেটওয়ার্কিং সুযোগও তৈরি করতে হবে।”

ড. ইউনূস বলেন, “বিএনসিসি শুধু ছেলেদের কেন্দ্রিক হওয়া ঠিক নয়; মেয়েদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনসিসিকে আরও কার্যকর ও বাস্তবমুখী করতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে এই স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগানো যাবে তা নির্ধারণ করতে হবে।”

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, “ভালো প্রশিক্ষক নিয়োগই সবচেয়ে জরুরি। জুলাই বিপ্লবের পর বিএনসিসি ক্যাডেটরা রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে—এটি ছিল প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”

প্রধান উপদেষ্টা বিএনসিসির নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার যুব নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর প্রক্রিয়ায় বিএনসিসিকে সম্পৃক্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

RELATED NEWS

Latest News