আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৫, রাত ২২:১০
সম্পাদনা: ডেইলি প্রতিদিনের বাণী ডেস্ক
কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (১৩ মে) রাত ৮টায় দেওয়া এই ভাষণে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জানান, “ভারত কোনো ধরনের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না।”
ভাষণের শুরুতেই মোদি বলেন, পেহেলগামে হামলার ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,
“একজন নারীর সিঁদুর মুছে দেওয়ার মূল্য কতটা হতে পারে, তা ভারতের পদক্ষেপে স্পষ্ট হয়েছে। এখন প্রত্যেক সন্ত্রাসী এটা জানে।”
অপারেশন সিন্দুর নিয়ে মোদির বার্তা
প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বক্তব্যে বলেন,
“অপারেশন সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অভিযানের নাম নয়, এটি জনগণের আবেগ ও ন্যায়বিচারের প্রতিচ্ছবি।” তিনি এই অভিযান দেশের সব মা, বোন ও কন্যাদের প্রতি উৎসর্গ করেন।
তিনি জানান, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়েছে এবং এটি এখনও স্থগিত করা হয়নি।
“আমরা আমাদের বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের অবস্থানে নিখুঁত হামলা চালিয়েছে,” বলেন মোদি।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ও যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গ
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরদিনই মোদির এই ভাষণ আসে। এতে তিনি বলেন,
“সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য, পানি ও রক্ত—এই সবকিছুর মধ্যে দ্বৈততা থাকতে পারে না।”
ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ সংক্ষেপে
- সশস্ত্র বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
- ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্য
- মাত্র ৩ দিনে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে “অকল্পনীয় ক্ষয়ক্ষতি” দাবি
- বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস
- পাকিস্তানে শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার দাবি
- ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার উল্লেখযোগ্য প্রভাব