গণপিটুনির মতো জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। রোববার রাজধানীর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সদর দপ্তর ও উত্তরা পূর্ব থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গণপিটুনির সঙ্গে জড়িত কেউই রেহাই পাবে না। তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু অঞ্চলে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঘটনার সংখ্যা কমে এলেও কিছু এলাকায় আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ যদি উসকানি দেয়, তাকেও বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”
তিনি জানান, রংপুরে একটি গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি এবং গণমাধ্যমের সহজলভ্যতার কারণে বর্তমানে এ ধরনের ঘটনাগুলোর খবর দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আগে এ ধরনের অপরাধের খবর তেমন একটা পাওয়া যেত না। এখন মিডিয়া এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে সব খবরই দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, শিল্পাঞ্চল ও কলকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তবে জনবলের ঘাটতি থাকায় কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও, কর্তব্য পালনে তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
তিনি জানান, দেশের শিল্প ও কলকারখানার সম্প্রসারণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের জনবল বাড়ানো জরুরি। সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ নয়। এটি নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখছি না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”