বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে পুরো বিশ্ব সমর্থন করছে। শুক্রবার নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের বার্তা এখন একটাই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেবে বিএনপি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যান। প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার দেশে ফিরলেও মির্জা ফখরুল এক দিন পর দেশে ফেরেন। যুক্তরাষ্ট্রে একটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে তিনি অতিরিক্ত সময় ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
জাতিসংঘ অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলেছি। যারা সেখানে ছিলেন তাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে, এটি স্বাভাবিক।
ভ্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা প্রতিনিধি দলের অংশ হয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিই। আমাদের দায়িত্ব ছিল, সেটি আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এ সফরকে আমি সফল মনে করি।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবারের মতো কয়েকটি বড় রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের বার্তা বিশ্বের কাছে পৌঁছেছে।
নিউইয়র্কে অন্যান্য বৈঠক নিয়েও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, এ কার্যক্রমগুলো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্যও ইতিবাচক হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে যে হয়রানির ঘটনা ঘটেছিল সেটিকে আমরা তেমন গুরুত্ব দিই না। এটি আওয়ামী লীগের সংস্কৃতির অংশ, যেটি তারা সচরাচর করে থাকে।
