চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-এর সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাংলাদেশ-চীনের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার চীনে সফর শেষে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরে সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের মহাপরিচালকসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান।
বিএনপি’র উচ্চপর্যায়ের নয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলটি সিপিসির আমন্ত্রণে চীন সফর করে। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, যার জনসংখ্যা ১.৪ বিলিয়নের বেশি। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৭.৪ শতাংশ।
সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সফর আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। সিপিসির সঙ্গে বিএনপির সংযোগ ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।”
সফরের অংশ হিসেবে বিএনপি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার শানশি প্রদেশের রাজধানী শিয়ানে অবস্থিত একটি মডেল কমিউনিটি পরিদর্শন করে। সেখানে কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হয়।
এর আগে প্রতিনিধিদল শিয়ানের হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট জোনে অবস্থিত আধুনিক স্মার্ট সিটি প্রকল্প ‘কোড সিটি’ ঘুরে দেখে। সফরের অংশ হিসেবে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নগর ব্যবস্থাপনা, উদ্ভাবনী অবকাঠামো এবং স্মার্ট সেবাসমূহ সম্পর্কে জানেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মঈদুল হাসান আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
প্রতিনিধিদলটি গত সোমবার ঢাকা ত্যাগ করে এবং শুক্রবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এই সফর দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনার বার্তা দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।