মুরাদনগরের সাম্প্রতিক ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুরাদনগর উপজেলার একজন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা তার দায়িত্বে থাকার শুরু থেকেই এলাকায় ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচ্ছেন, যা বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী নেতাদের কায়দার সঙ্গে মিলে যায়।
বিএনপির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার দায় যারা নেয়, তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। এ ধরনের অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, “এই ঘটনার দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে একটি চক্র সক্রিয়, যা আওয়ামী লীগের পুরনো কৌশল।”
যদিও বিবৃতিতে তিনি কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাঁর মন্তব্যে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে আসা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শোজিব ভূঁইয়ার দিকেই ইঙ্গিত রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও দাবি করেন, একটি অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহল, যারা বিদায়ী সরকারের ঘনিষ্ঠ, তারা এই ধরনের অপরাধ ঘটিয়ে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত করার অপচেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, রবিবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজের ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, একটি চক্র যারা “পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ ঘরানার ফ্যাসিস্টদের” আশ্রয় দিয়ে চলছে, তারাই এই ধর্ষণ ঘটনার পেছনে।
তিনি অবশ্য কোনো গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করেননি। তবে স্থানীয়ভাবে দাবি উঠেছে যে বিএনপির কিছু তৃণমূল নেতা আওয়ামী লীগের একটি অংশকে গোপনে সহায়তা দিচ্ছেন।
শুক্রবার মুরাদনগরের এক হিন্দু নারী অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক যুবক ফজর আলী তাকে ধর্ষণ করেছে। পরদিন তিনি মামলা দায়ের করেন।
বিএনপি বলছে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক অপব্যবহার হচ্ছে, এবং এটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত নিরপেক্ষভাবে।
