চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সঙ্গে ফটিকছড়ির নারায়ণহাটের সড়ক যোগাযোগ গত পাঁচ দিন ধরে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ফলে সড়কে জমে থাকা ধ্বংসাবশেষ এখনও সরানো হয়নি।
বুধবার বিকেলে মিরসরাই উপজেলার ঝরঝরি মাজার সংলগ্ন চার রাস্তার কোপ এলাকায় এ ধসের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কেবলমাত্র কিছু সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল জরুরি ভিত্তিতে চলাচল করছে। যাত্রীরা নিজেরাই যানবাহন ঠেলে নিয়ে পথ অতিক্রম করছেন।
মিরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন এই পথে চলাচল করে।
এ ছাড়াও, আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক লেবু চাষ হয়। সাধারণত এই এলাকার লেবু চট্টগ্রাম শহরসহ ফেনী, কুমিল্লা ও অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সড়ক বন্ধ থাকায় চাষিরা লেবু সংগ্রহই বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও লেবু চাষি আলাউদ্দিন বলেন, “পাঁচ দিন হয়ে গেছে, এখনও সড়ক বিভাগ থেকে কেউ এসে দেখেনি। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক নিয়ে কেউই যেন মাথা ঘামাচ্ছে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান বলেন, “পাঁচ দিন নয়, তিন দিন হয়েছে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যায়নি।”
তিনি জানান, শনিবার রাতেই একটি এক্সকাভেটর পাঠানো হবে এবং রোববার সকাল থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার কাজ শুরু হবে।
স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন সড়ক বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতিও বাড়ছে। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দ্রুত সড়ক সচল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।