ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : ক্রিকেট বিশ্বে খেলোয়াড়দের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। তবে তা হাতাহাতিতে গড়িয়ে যাওয়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা। এমনই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্ম হয়েছে বুধবার মিরপুরে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার এমার্জিং দলের চার দিনের ম্যাচে।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান রিপন মন্ডল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সেপো এনটুলির মধ্যে ঘটে যায় সরাসরি শারীরিক সংঘর্ষ। ম্যাচের ১০৫তম ওভারে এনটুলির প্রথম বলেই বিশাল ছক্কা হাঁকান রিপন। এ নিয়ে উত্তেজিত হয়ে এনটুলি তর্কে জড়ান এবং রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি শুরু করেন। পরিস্থিতি হাতাহাতিতে গড়ানোর আগে আম্পায়ার ও অন্য ক্রিকেটাররা হস্তক্ষেপ করে উত্তেজনা প্রশমিত করেন।
ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা হিসেবে পরিচিত হলেও এই ধরনের আচরণ তার বিপরীত চিত্র তুলে ধরে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ করা লেভেল চার পর্যায়ের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর শাস্তি হতে পারে আজীবন নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত। তবে এই ম্যাচটি প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা না পাওয়ায় আইসিসির নিয়ম সরাসরি কার্যকর নয়।
ফলে এনটুলির শাস্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আইসিসির নিয়ম কার্যকর না হওয়ায় অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এনটুলি হয়তো কোন শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যাবেন। অথচ একই ধরনের অপরাধে ২০১৩ সালে বিগ ব্যাশে শেন ওয়ার্নকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং ৪৫০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। এনটুলির কাণ্ড আরও গুরুতর হওয়ায় কঠোর শাস্তি দাবি করছেন অনেকেই।
ম্যাচ রেফারি সেলিম সাহেদ এক জাতীয় দৈনিককে জানান, এনটুলির শাস্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তার মতে, এমন অপরাধের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন আচরণ করতে সাহস না পায়।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্রিকেট মাঠে শৃঙ্খলার এই অবক্ষয় শুধুমাত্র খেলোয়াড় নয়, খেলাটির ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতএব, এনটুলি ও রিপন মন্ডল উভয়েরই যদি দোষ প্রমাণিত হয় তবে উভয়ের বিরুদ্ধেই নেওয়া উচিত যথাযথ ব্যবস্থা। খেলাটিকে কালিমামুক্ত রাখতে শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়া উচিত নয়।