ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিলকি হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া ১২ বছর পেরিয়েও থমকে আছে। সাক্ষীদের অনুপস্থিতি ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ন্যায়বিচার এখনো অনেক দূরে।
আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়েই আটকে আছে। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি শপিং মলের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় মিলকিকে। ঘটনার পর থেকেই এটি আলোচিত মামলায় পরিণত হয়।
মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০২২ সালের মার্চে ঢাকার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হলেও এখন পর্যন্ত ৭৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩ জুলাই দুইজন সাক্ষী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও হুজুর আলী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
সর্বশেষ ১৭ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলেও কোনো সাক্ষী হাজির হননি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ২১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা আইনজীবী সেরাজুল হক ফয়সাল জানান, “সমন জারির পরও সাক্ষীরা আসছেন না। সর্বশেষ সমনপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসকও আদালতে হাজির হননি। আমরা চাই দ্রুত এই মামলার বিচার শেষ হোক।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল নূর ভূঁইয়া বাবুল বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোনো নতুন সাক্ষী হাজির হননি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সাক্ষীদের হাজির করানোর জন্য, কিন্তু সহযোগিতার অভাবে প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না।”
মামলায় মোট ১৮ জন আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, সোহেল মাহমুদ ওরফে সোহেল ভূঁইয়া, চুন্নু মিয়া, আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, শহিদুল ইসলামসহ অন্যরা অন্তর্ভুক্ত।
মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবী এবং আদালত উভয় পক্ষই সাক্ষীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।