ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সামরিক বিমান দুর্ঘটনার ফলে নিহতের সংখ্যা সংশোধিত হয়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিকেল ৪টার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং ৪৬ জন আহত হয়ে এখনও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালভিত্তিক মৃত্যুর তালিকাও প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট: ৩৪ জন আহত, ১৭ জন নিহত
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ): ১১ জন আহত, ১৪ জন নিহত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: ১ জন নিহত
ইউনাইটেড হাসপাতাল: ১ জন নিহত
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট: ১ জন আহত
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লুবানা জেনারেল হাসপাতাল এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে যে মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়েছিল তা একই ব্যক্তির ছিল।
এর আগে সকাল ১০টায় আরেকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৩৪ বলা হয়েছিল। পরে সিএমএইচ কর্তৃক প্রকাশিত ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট সংখ্যা কমে ৩৩-এ দাঁড়ায়।
সিএমএইচ জানায়, ২১ জুলাই দুর্ঘটনার দিন তাদের মরচুয়ারিতে মোট ১৫টি বডি ব্যাগ পৌঁছায়। এর মধ্যে ১১টি সম্পূর্ণ দেহ, ২টি আংশিক দেহ এবং ৫টি দেহাংশ ছিল।
পরিবারের মাধ্যমে ৯টি সম্পূর্ণ দেহ শনাক্ত করা হয়। ওইদিনই ৮টি এবং পরদিন ১টি দেহ হস্তান্তর করা হয়।
বাকি অশনাক্ত দেহ ও দেহাংশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সিআইডির রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫টি মরদেহ সঠিকভাবে শনাক্ত হয় এবং ২৪ জুলাই রাতে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই প্রক্রিয়ায় নিহতের সংখ্যা একজন কমে যায়।
২১ জুলাই দুপুরে কুর্মিটোলা এয়ারবেস থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই একটি এফটি-৭ বিগিআই ফাইটার জেট উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে ব্যাপক আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন শিশু।