আর্সেনালের সাবেক ঘানিয়ান মিডফিল্ডার থমাস পার্টের বিরুদ্ধে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (CPS) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পার্টের বিরুদ্ধে তিন নারীর করা অভিযোগে পাঁচটি ধর্ষণ ও একটি যৌন নিপীড়নের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনা ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের সঙ্গে আর্সেনালের চুক্তি শেষ হয় গত ৩০ জুন। মাত্র চার দিন পরই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়। পার্টে আগামী ৫ আগস্ট ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হবেন বলে জানিয়েছে CPS।
২০২২ সালের জুলাই মাসে তাকে প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের পরিচয় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা না হওয়া পর্যন্ত গোপন রাখা হয়, ফলে গণমাধ্যমে সে সময় পার্টের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তদন্ত চলাকালে তিনি আর্সেনালের হয়ে মাঠে নামা অব্যাহত রাখেন এবং মোট ১০৮টি ম্যাচ খেলেন।
এমনকি চলতি বছরের জুন মাসেও তার চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনায় ছিল ক্লাবটি। তবে অভিযোগের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর ক্লাব প্রথমে কোনো বিবৃতি দেয়নি। পরে সাংবাদিকদের অনুরোধে এক মুখপাত্র জানান, “প্লেয়ারের চুক্তি ৩০ জুন শেষ হয়েছে। চলমান মামলার কারণে ক্লাব কোনো মন্তব্য করতে পারছে না।”
ঘটনার পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সামনে আসেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। তিনি বলেন, “ক্লাব ইতোমধ্যে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে। আইনি দিকগুলো অত্যন্ত জটিল, তাই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।” তবে যখন প্রশ্ন করা হয় ক্লাবের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি না, তখন সরাসরি বলেন, “শতভাগ।”
অপরদিকে, পার্টের আইনজীবী জেনি উইল্টশায়ার এক বিবৃতিতে জানান, “থমাস পার্টে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত তিন বছর ধরে তিনি পুলিশ ও CPS-এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। এখন তিনি আদালতে গিয়ে নিজের নাম মুছে ফেলার সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদী।”
তিনি আরও বলেন, “চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে আমার মক্কেল বর্তমানে আর কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না।”
ঘটনার সত্যতা ও মামলার রায় এখন সময়ই বলে দেবে। তবে ইংলিশ ফুটবলে এটি একটি আলোচিত ও স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে উঠেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, ক্লাব, আইনজীবী এবং খেলোয়াড়—সবার নজর আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই।